[নতুনদের জন্য] সবচেয়ে কম পরিশ্রমে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চান? আপনার জন্য ক্লিকসিউর…

No Comments

অনলাইন আয়ের নতুন এক দিগন্ত…


ডিজিটাল এই সময়ে অনলাইনে আয়ের কথা শোনেননি এরকম কাউকে পাওয়া বোধহয় দুস্কর। অনেকে অনেক পরিশ্রম করছেন টাকা ইনকাম করার জন্য। অনেকে পারছেন আর বেশিরভাগই পারছেন না। তাদের জন্যই আজকে একটি নতুন পদ্ধতির কথা বলবো। এতো সহজে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় তা আপনি ভাবতেও পারবেন না! খুবই সহজ। চলুন জেনে নেয়া যাক।


অন্যান্য এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের সাথে ক্লিকসিউর মার্কেটপ্লেসের পার্থক্য হলো- ক্লিকসিউর “মেক মানি” প্রোডাক্টের জন্য বিখ্যাত। অর্থাৎ এখানের বেশিরভাগ প্রোডাক্ট হলো অনলাইন আয় করার। অর্থাৎ এই প্রোডাক্টগুলো হচ্ছে সাধারণ সফটওয়্যার, ই-বুক টাইপ। যেগুলো ব্যবহার করে ক্রেতা বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ক্লিকসিউর কি?

এক কথায় বলতে গেলে- ক্লিকসিউর একটি মার্কেটপ্লেস। বলে নেয়া ভালো এটা এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি এফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে ক্লিকসিউর হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট ওয়ে শুরু করার জন্য। এতো সহজ ইনকাম মাধ্যম আমি আর দেখিনি।
এখান থেকে এফিলিয়েট লিংক নিয়ে সেল দিতে পারলে আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় এখানের একটা প্রোডাক্টের দাম ৩৯ ডলার কিন্তু আপনি যদি এটা সেল করতে পারেন তাহলে পাবেন ২৫০ ডলার। কী, অবিশ্বাস্য লাগছে? কিন্তু এটা বাস্তব এবং সেকথাই আজকে আমরা জানবো এই লেখায়।

কীভাবে সাইনআপ করবো ক্লিকসিউরে?

আপনি খুব সহজেই ক্লিকসিউরে সাইনআপ করতে পারবেন একজন এফিলিয়েট হিসেবে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো এখানে এপ্রুভ হওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। সাইনআপ করার সাথে সাথেই এখানে কাজ করতে পারবেন।
ক্লিকসিউরে সাইন করতে এখানে ক্লিক করুন- সাইনআপ ক্লিকসিউর
নিচের ফরমটির মতো একটি ফরম দেখতে পাবেন। যত্নের সাথে সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পুরণ করে “Create My Affiliate Account”-এ ক্লিক করুন।







সাইনআপ করা শেষে লগিন করে আপনার ক্লিকসিউর প্রোফাইলটি পরিপূর্ণ করুন। তাহলেই কাজ শুরু করতে পারবেন।

কীভাবে ক্লিকসিউরে কাজ শুরু করবেন?

খুবই সহজ। লগিন করার পর ক্লিকসিউরের এফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড দেখুন- এটা আপনার ড্যাশবোর্ড। এখানে জানতে পারবেন আপনার কতটাকা ইনকাম হলো, কতজন ভিজিটর পেলেন, কোন প্রোডাক্ট বিক্রি হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
মার্কেটপ্লেস নামের একটা মেনু আছে। ওখানে ক্লিক করলে ক্লিকসিউর মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। এখান থেকে প্রোডাক্ট বাছাই করে মার্কেটিং শুরু করবেন। আপনার লিংক ধরে কেউ প্রোডাক্ট কিনলে আপনি আপনার পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।

কীভাবে প্রোডাক্ট বাছাই করবো?

এটা ঠিক- ক্লিকসিউরে বেশ কিছু স্ক্যাম প্রোডাক্ট আছে। তাই প্রোডাক্ট বাছাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ক্লিকসিউর টপ ১০ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করাই ভালো। সুতরাং নতুন হিসেবে আপনিও তাই করুন। পরে এক্সপার্ট হলে নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। কোনটা মার্কেটিং করলে ভালো সেল হবে আর কোনটা একেবারেই হবে না।
মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার পর প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। যেকোনো একটা প্রোডাক্টের টাইটেলে ক্লিক করুন। ঐ প্রোডাক্টের ডিটেইলস দেখতে পাবেন। প্রোডাক্ট পেজে বেশ কিছু বিষয় দেখতে পাবেন। এখানে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হলো। বাকীগুলো ধীরে ধীরে জানলেই হবে।
প্রোডাক্টের টাইটেল: সবার উপরে এটা দেখতে পাচ্ছেন। এটা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের নাম।
টাইপ: ক্লিকসিউরে সিপিএ, রেভ্যিনু শেয়ার, সিপিএল এবং এমএলটি এই চার ধরণের পোডাক্ট পাওয়া যায়। আপাতত সিপিএ সম্পর্কে জানুন এবং এই ধরণের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করুন। সিপিএ মানে হলো: ক্লিক পার একশন। অর্থাৎ এই টাইপের একটা প্রোডাক্ট সেল হলে আপনি কত পাবেন তা আগেই নির্ধারণ করা হয়ে যায়। আরও পজিটিভ হলো: সিপিএ টাইপ প্রোডাক্ট একবার যদি সেল হয় ওটা রিফান্ড হলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই। আপনার কমিশন আপনি পাবেনই। প্রোডাক্টের মালিক নিজের পকেট থেকে টাকা রিফান্ড দেবেন। ক্লিকসিউরের সিপিএ প্রোডাক্টের ভ্যালু থাকে ২০০ ডলার, ২৫০ ডলার বা আরও বেশি। অর্থাৎ একবার সেল হলেই আপনি ২০০-২৫০ ডলার পেয়ে যাবেন।
উইকলি নেট: এখানে ৭/১১/১৮/২৫/৩২ যেকোনো একটা দেখতে পাবেন। এর অর্থ হচ্ছে আপনার ঐ প্রোডাক্টটা সেল হওয়ার পর আপনি যে ডলার পাবেন সেটা
ক্যাম্পেইন পেআউট: এটার মানে হলো আপনি কত পাবেন যদি এই প্রোডাক্টটা একবার সেল করতে পারেন।
কান্ট্রিজ এলাউড: এই প্রোডাক্টটা আপনি কোন কোন দেশে মার্কেটিং করতে পারবেন?
জেভি ইউআরএল: এখানে একটি লিংক পাবেন। এটা একটা মাজার বিষয়। প্রোডাক্টের মালিক এই প্রোডাক্টটি কীভাবে মার্কেটিং করবেন সেসব বিষয় লিখে রেখেছেন এই জেভি পেজে। ওখান থেকে লেখা, ভিডিও ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেটিং করবেন।
ল্যান্ডিং পেজেস: এই ট্যাবের অধীনে থাকা লিংকটিই হচ্ছে আপনার এফিলিয়েট লিংক ঐ প্রোডাক্টের জন্য। এভাবে ক্লিকসিউরের প্রতিটি লিংকের জন্যই আপনি আলাদা এফিলিয়েট লিংক পাবেন। এবং এই লিংকটিই আপনি মার্কেটিং করবেন। এই লিংকে ক্লিক করে এসে কেউ ঐ প্রোডাক্টটি কিনলেই আপনি আপনার প্রাপ্য টাকা পাবেন।
আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। তারপরও কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান। অবশ্যই হেল্প করা হবে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় মার্কেটিং করবেন?

ক্লিকসিউর প্রোডাক্ট কোথায় মার্কেটিং করবো?

অবশ্যই রিচ কান্ট্রিগুলোর কমিউনিটিতে মার্কেটিং করবেন। কারণ এগুলো আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের কেউ কিনবে না। যদি আরও ডেডিকেটেড করে বলা যায় তাহলে বলতে হবে আপনি শুধুমাত্র আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এই চারটি দেশেই শুরুতে মার্কেটিং করবেন। কেন সেটা পরে বলা হবে। তো এই দেশগুলোর কমিউনিটি কীভাবে খুঁজে পাবেন? এজন্য গুগলের সহায়তা নিন। আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলবো প্রাথমিকভাব আপনি শুধু ফেসবুক টার্গেট করুন। ফেসবুকে খুঁজলে অনেক গ্রুপ এবং ফ্যানপেজ পাবেন যেখানে লোক নানা কিছু জানতে চায়। এর মধ্যে প্রধান হলো: কীভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবো? তো ফেসবুকের এরকম গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো খুঁজে নিয়ে ওগুলোতে জয়েন করুন। কিছুদিন ঐ গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো দেখার পর ওগুলোতে আপনার প্রোডাক্টের লিংকসহ মার্কেটিং করুন এভাবে: “এটা এই প্রোডাক্ট, এটা দিয়ে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। তুমি এটা কিনে চেষ্টা করে দেখতে পারো। আর যদি না পারো তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে তুমি তোমার টাকা ফেরত নিতে পারবে।”
এইরকমই হবে আপনার বক্তব্য। এভাবে প্রতিদিন যদি ১০০টা গ্রুপ এবং ফ্যানপেজে মন্তব্য করেন দেখবেন আপনি ট্র্যাফিক পাচ্ছেন। আর ট্র্যাফিক পাওয়ার মানে হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের প্রতি তারা আগ্রহী অর্থাৎ কিনতে চায়।

ক্লিকসিউরের টাকা কীভাবে পাবো?

ক্লিকসিউর-এর টাকা পেওনিয়ারের মাধ্যমে আনতে পারবেন। যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে খুবই ভালো। প্রথম সেল পাওয়ার পর আপনার কার্ড ক্লিকসিউরে এড করতে পারবেন। আর যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট না থাকে তাহলে নতুন একটা খুলে নিন এখুনি: সাইনআপ ফর পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড
উপরের এই লিংক থেকে সাইনআপ করলে কার্ড একটিভ হওয়ার পর আপনি ২৫ ডলার বোনাস পাবেন। এবং আপনার একাউন্ট এপ্রুভ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ভবিষ্যতে পেওনিয়ারে সহজে একাউন্ট খোলা এবং নানারকম সমস্যা নিয়ে একটা দীর্ঘ টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছে আছে। আশা করি শিগগিরেই এটা পাবেন।

ক্লিকসিউর কি সত্যিই টাকা দেয়?

হুম, দেয়। আমি নিজে টাকা পেয়েছি তারপর এই পোস্ট লিখেছি। একটা কথা আপনাদের ক্লিয়ার করে বলে নেই। এই ব্লগে কখনো কোনো লেখা পার্সোনাল অভিজ্ঞতা ছাড়া লেখা হবে না। আপনি নিশ্চিত থাকুন। টাকা পাওয়ার পরই আমি লেখবো। কিংবা গেস্ট লেখক যদি কখনো লেখেন, টাকা পেয়েছেন সেই নিশ্চয়তা পেয়েই লেখাটি প্রকাশ করা হবে।

ক্লিকসিউর সম্পর্কে আরও জানতে চাই-?

ক্লিকসিউরের ব্লগ, ফোরাম এবং সর্বোপরি ওদের নলেজবেজ অংশ ভালো করে দেখে নিন। ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন। সর্বোপরি আমিতো আছিই। যেকোনো সমস্যার জন্য আমাকে জানান। ইনশাল্লাহ হেল্প করা হবে।

সমাপ্তিকথন

যেকোনো কাজ করার আগে নিজে ভালো করে সেটা বুঝে নেবেন। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে কখনো ভালো কিছু করা যায় না। ক্লিকসিউরে আমার জানামতে অনেকেই আছেন যারা উইকলি মানে প্রতি সপ্তাহে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার ইনকাম করেন। আবার অনেকেই পারছেন না একেবারেই। স্বাভাবিকভাবে নাপারাদের সংখ্যাই বেশি। তবে মাসে এক থেকে দেড় হাজার ডলার ইজিলি অনেকেই ইনকাম করতেছেন। খুবই সহজে।
তারপরও বলে নেয়া ভালো: এখানে আপনি কাজ করবেন সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে। যদি সাকসেস হতে না পারেন সেজন্য আমাকে কোনোভাবেই দায়িী করা যাবে না। সুতরাং আগেই ভেবে দেখুন কাজ করবেন কি করবেন না।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আবারও কথা হবে।
ইনফরমেশন ঃ আডিয়াবাজ

back to top